রাজধানীর পল্লবীতে ১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি বাড়ির নিচে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন সুমন (৪০) ও রফিকুল ইসলাম (৩৫)। তাঁরা দুইজনই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে ওই ঘটনায় শিশুসহ দগ্ধ সাতজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসাইন আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডা. আইউব বলেন, মৃত রফিকুল ইসলামের শরীরের ৮৫ শতাংশ ও সুমনের ৪৫ শতাংশ পোড়া ছিল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইসিইউর ১৪ নম্বর শয্যায় রিনা আক্তার নামে একজনের মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন নওশীনের ১৫, রওশন আরার ৮৫, নাজনীনের ২৭ ও রেনুর শরীরের ৩৮ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি রয়েছে বলে জানান তিনি। গত বুধবার (২৫ আগস্ট) রাত ১টার দিকে বিকট শব্দে এই বিস্ফোরেণের ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, বাড়ির নিচে গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল। দুই দিন আগে সেই লিকেজ ঠিক করা হয়। কিন্তু বুধবার রাত ১টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ হয়। এতে নিচতলায় আগুন ধরে গেলে সাতজন দগ্ধ হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয়রা জানায়, তিতাসের গ্যাস লাইনে সমস্যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও তিতাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশও তদন্ত করছে। পল্লবী থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, ওই বাড়িতে কয়েক দিন গ্যাস ছিল না। রাতে হঠাৎ গ্যাসের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন গ্যাস রাইজার পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।